Brands
Discover
Events
Newsletter
More

Follow Us

twitterfacebookinstagramyoutube
Youtstory

Brands

Resources

Stories

General

In-Depth

Announcement

Reports

News

Funding

Startup Sectors

Women in tech

Sportstech

Agritech

E-Commerce

Education

Lifestyle

Entertainment

Art & Culture

Travel & Leisure

Curtain Raiser

Wine and Food

YSTV

ADVERTISEMENT
Advertise with us

হীরে, সোনা, প্লাটিনাম সব পাবেন jewelebration-এ

হীরে, সোনা, প্লাটিনাম সব পাবেন jewelebration-এ

Wednesday February 14, 2018 , 4 min Read

গয়না ব্যবসা এখন আরও স্মার্ট। আপনার গয়না কেনার ইচ্ছেটাও স্মার্ট করে ফেলুন। বাড়িতে বসে অর্ডার দিন। গয়না পছন্দ করুন। চাইলে নিজের মনের মতন গয়না বানিয়ে নিন অনলাইনে। মাপ মত থ্রিডি প্রিন্টেড গয়নার মডেল পাঠিয়ে দেবেন ওরাই। পরে দেখে নিন, ঠিক কেমন লাগছে! তারপর যেমনটি চাইছেন তেমনটি সোনা হীরে প্লাটিনামের গয়না আপনার বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিচ্ছে জুয়েলেব্রেশন। সুনীল সোনি এবং তার সম্পর্কে শ্যালক মনীশ বর্মা। দুজনে পাকা জহুরি। ২০১৬ সালে শুরু করেছেন এই ব্যবসা।

image


সুনীল বলছিলেন, ওদের পরম্পরা গয়না ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আসনাসোল থেকে কলকাতায় এসেছেন সুনীল। পূর্বপুরুষের চিরাচরিত গয়নার ব্যবসার বাইরে গিয়ে নিজের পায়ের তলার জমিটা শক্ত করতে চেয়েছেন। এমবিএ করেছেন। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হিসেবে কাজও করেছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু ভবিতব্য আর ওর প্যাশনই ওকে টেনে এনেছে পারিবারিক ব্যবসায়। তবে ঠিক একই রকমভাবে নয়। একটু অন্য রকম আঙ্গিকে। কেননা সুনীল মনে করেন গ্রাহক বদলেছে। ক্রেতাদের পছন্দ এবং প্রয়োজনীয়তাও বদলেছে। তাই তার প্রভাব পড়েছে ওর ভাবনায়। বাড়িতে বসে বসেই কেনা কাটায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন গ্রাহক। ফলে সেই প্রবণতাকেই সম্মান জানাতে চেয়েছেন সুনীল। হিসেব বলছে অনলাইনে গয়না কেনার প্রবণতাটা আরও বাড়বে। এখনই সাড়ে তের কোটি মার্কিন ডলারের বাজার। ২০২২ সালের মধ্যে এটা বেড়ে দাঁড়াবে দুশো কোটি মার্কিন ডলারে। ভারতে ই কমার্সের বাজারে এখনও অনলাইন জুয়েলারি বিক্রি পরিসংখ্যানের নিরিখে সবে শিশু। শতাংশের বিচারেও অতি নগণ্য। কিন্তু এখানেই বাজার বাড়ার সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছেন সুনীল এবং মনীশ। তাই সেই ব্যবসায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন দুজনে। মনীশ নেপাল থেকে কলকাতায় চলে এসেছেন। গয়না তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করার কাজটা মূলত পরিদর্শন করেন মনীশ। আর ডিজাইন ঠিক মতো হল কিনা, কাস্টমারের কাছে সেগুলো পৌঁছল কিনা তা নিয়ে সারাদিন লেগে রয়েছেন সুনীল সোনি। শান্ত স্বভাবের এই উদ্যোগপতি বলছিলেন, গয়না তৈরির প্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে ওদের দীর্ঘদিনের যোগ। তাই পরম্পরা ভোলার কোনও অর্থই হয়না। ওদের আত্মীয় স্বজনরাই বড়বাজার এলাকার গয়নার দোকানগুলি চালান। কলকাতার অন্তত পক্ষে আশি শতাংশ গয়নার দোকানের মালিকই ওদের আত্মীয় স্বজন। ফলে কারিগরের অভাব নেই। গুণগত মান আর ন্যায্য দামের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছেন সুনীল। সঙ্গে দিতে চেয়েছেন গয়নায় আধুনিকতার ছোঁয়া। ঐতিহ্যকে ভুলে গিয়ে নয়, তবুও আধুনিক হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে তার স্টার্টআপ। গয়নার দাম থেকে শুরু করে গয়নায় ব্যবহার হওয়া সোনা, হীরে, প্লাটিনাম সবেরই গুণগত মান নিয়ে স্বচ্ছতার সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন ওদের গয়না কিনলেই।

বলছিলেন কীভাবে শুরু করলেন এই স্টার্টআপ। সম্পর্কে শ্যালক মনীশ ভর্মাও একই ভাবে পাশে থেকেছেন জামাই বাবু সুনীল সোনির। সুনীলদের যেমন আসানসোলে দোকান পাট তেমনি মনীশদের পারিবারিক ব্যবসা নেপালে। গয়নার ব্যবসা। সোনা হীরে প্লাটিনামের কারিগরি দেখে দেখেই বড় হয়েছেন মনীশ। কিন্তু আরও এগোতে চাইছিলেন। নতুন কিছু করার ইচ্ছে ছিল। আর তাই ভারতীয় গহনাকে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার তাগিদ নিয়েই নতুন এই উদ্যোগের ভাবনা শুরু।

কিন্তু ঠিক কী নাম দেওয়া যায় তা ডিনার টেবিলে টিভি দেখতে দেখতেই মাথায় আসে সুনীল সোনির। ২০১৬-র দীপাবলির আগে। চতুর্দিকে উৎসব চলছে। তার মধ্যেই মাথায় আসে গয়নাকে সেলিব্রেশনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার আইডিয়াটা। জুয়েলেব্রেশন নামটা ওভাবেই চলে আসে। তারপর থেকে শুরু হয়ে যায় জুয়েলেব্রেশনকে সেলিব্রেট করার কাজ।

ফলে এখন ভালো গয়না কিনতে দোকানে দোকানে ঘোরার দিন শেষ। কম্পিউটারের সামনে বসেই বেছে নিতে পারবেন আপনার পছন্দের গয়নাটি। চাইলে একটু আধটু অদল বদলও করতে পারবেন ডিজাইনে। এমনিতেই ওরা আন্তর্জাতিক মানের সেরা ডিজাইনারদের দিয়েই গয়না ডিজাইন করান। তবুও আপনার গয়না আপনার রুচি আর ব্যক্তিত্বের প্রতিনিধিত্ব করবে। তাই আপনি চাইলে সেই ইচ্ছেটা অনায়াসে পূরণ করতে পারবেন। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ওদের গয়নার দাম। ওরা বলেন ওরা এমনভাবেই গয়নার দাম ধার্য করেন যে সেটার ওপর ডিসকাউন্ট দেওয়ার প্রয়োজনই পরে না। আর এখানেই আর পাঁচটা প্রতিযোগীর থেকে অনেকটাই আলাদা হয়ে যায় ওদের গয়না।

ফলে প্রতিনিয়ত চাহিদাও বাড়ছে। মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, দুবাই, সিঙ্গাপুর ছাড়াও ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ওদের গয়নার ক্রেতারা আসছেন। অনলাইনে গয়না অর্ডার দিচ্ছেন। আর জুয়েলেব্রেশন ক্রেতাদের দরজায় গয়নাটা পৌঁছে দিচ্ছেন বিশেষ কুরিয়ারের মাধ্যমে একদম বাড়তি ডেলিভারি চার্জ ছাড়াই।

ফলে আর ভাবনা নেই, বিয়ের সিজনে গোটা পরিবারকে নিয়ে চলুন গয়না কিনতে। কম্পিউটারের সামনে। হাতের মুঠো ফোনেই বরং খুলে ফেলুন ৫ হাজার গয়নার অতুলনীয় খাজানা। পাবেন হাজার দুয়েক হীরের গয়না। সবকটিই ইউনিক ডিজাইন। কিনতে পারেন ক্রেডিট কার্ডে, দ্রুত ঋণ পাওয়ার বন্দোবস্তও করে দেন ওরা। মাসিক কিস্তিতেও টাকা শোধ করতে পারেন। ফলে মেয়ের বিয়ের গয়না উচিত দামে কিনতে পারবেন jewelebration.com এই সাইট থেকেই। শুধু কি তাই, সামাজিক একটি হৃদয়ও আছে এই গয়না বিক্রেতা সংস্থার। উৎসবের মরসুমে মোট বিক্রির এক শতাংশ টাকা মূক ও বধির শিশুদের উন্নয়নের জন্যে ওরা দান করেন।